আবরার
কেন সোনার বাংলায় সোনার মানিকের অনাচার
শতবার?
শকুনের থাবায় ডাঙায় ডোবায় লাশের
গন্ধ মানবতার চিৎকার
মুখের বাক বন্ধ দৃষ্টি চোখ অন্ধ বিবেক-কে
ধিক শত ধিক্কারII
কেন দেশ রক্ষণে সাহসী উচ্চারণে স্বপ্নের
ছেদ আবরার?
কেন সোনার বাংলায় সোনার মানিকের অনাচার
শতবার?
আমার কথামালা প্রতিবাদে মুখে বলা নয়-তো চমক কোন মন্ত্র
নয়-তো লুফে নিয়ে কেউ কারো পিছু নিয়ে কেউ হবে ক্লান্ত ক্ষ্যান্ত
আমি চাই রক্তের লাল দাগ ইতিহাস হয়ে যাক এখানেই হোক সংহার
পায়রা-কপোত মেলে
ডানা মুখের বার্তা খানা হোক শান্তির অবতারII
কেন দেশ রক্ষণে সাহসী উচ্চারণে স্বপ্নের
ছেদ আবরার?
কেন সোনার বাংলায় সোনার মানিকের অনাচার
শতবার?
বিদ্যাপীঠ গুলোতে বিদ্যার পাশাপাশি বাহারি চমক কিছু আয়োজন
সমাজ বিনির্মাণে নবীনের
দিশা দানে আছে তারও বেশ প্রয়োজন
আত্ম-আবিষ্কারে অধিকার
সোচ্চারে কুৎসিত ডান-বামে একাকার
আরো নিচে নেমে শীতের
রাতেও ঘেমে কতক করে চলে অনাচারII
কেন দেশ রক্ষণে সাহসী উচ্চারণে স্বপ্নের
ছেদ আবরার?
কেন সোনার বাংলায় সোনার মানিকের অনাচার
শতবার?
ওখানে লেখা ছিল, না-করার
উপদেশ, আবুলাসাদ স্যারের ফিকশন
পজিটিভ ভাবার আগে আগেই ভাবতে হয় সমান বা বিপরীত একশন
আরেকটু বেশি ভেবে-
থাকবে কি
হারাবে চৌকস প্রতিভার আবরার
-নাকি শূন্যতা থেকে যাবে হাহাকার রবে
ভবে অসীম সাহসী যোদ্ধারII
কেন দেশ রক্ষণে সাহসী উচ্চারণে স্বপ্নের
ছেদ আবরার?
কেন সোনার বাংলায় সোনার মানিকের অনাচার
শতবার?
চেতনার ধ্বজাধারী
শীর্ষে আসন গাড়ি হারিয়ে বিবেচনা হিতাহিত
ধাতব আর মানুষের রিলেশন
বোঝেনা মেরু-টা সমান না বিপরীত
এ বিষয়ে দুটো কথা
লিখে প্রাণের ব্যথা উপশম করা মোর অধিকার
গাঁয়ের আনোয়ার আমি
নই-তো কোন জানোয়ার; চেতনার ঠিকাদারII
কেন দেশ রক্ষণে সাহসী উচ্চারণে স্বপ্নের
ছেদ আবরার?
কেন সোনার বাংলায় সোনার মানিকের অনাচার
শতবার?
গ্রেনেড জ্যেষ্ঠের
বুকে ফের তাকে বাবা ডেকে চেতনার হুংকার
বীভৎস চেতনা সুযোগও
দেয়না জীবন সায়াহ্নে দেবে চিৎকার
শিশু রাসেল নয় ক্ষমতা
মধুময় যেভাবে পারো আগলে ধরো বারবার
আলো ও আঁধার কালো
ও সাদার, সময় কোথায় এ সকল ভাববারII
কেন দেশ রক্ষণে সাহসী উচ্চারণে স্বপ্নের
ছেদ আবরার?
কেন সোনার বাংলায় সোনার মানিকের অনাচার
শতবার?
*****
কথা: আনোয়ার
হাসান
পদ অনুসরণ:
গৌরী প্রসন্ন মজুমদার/ -কফি হাউজের সেই
আড্ডাটা
সম্পাদনা: করা হয়নি
চূড়ান্তকরণ: প্রধান সম্পাদক
উৎসর্গ: .. .. ..
..
দুর্বলতা: ভাষার সরলতার স্থলে দুর্বোধ্যতা
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেলগুলো সেই আজ আর নেই
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেলগুলো সেই আজ আর নেই
নিখিলেশ প্যারিসে, মইদুল ঢাকাতে, নেই তারা আজ কোন খবরে
গ্রান্ডের গিটারিষ্ট গোয়ানিস ডিসুজা ঘুমিয়ে আছে যে আজ কবরে
কাকে যেন ভালবেসে আঘাত পেয়ে যে শেষে পাগলা গারদে আছে রমা রায়
অমলটা ধুকছে দুরন্ত ক্যানসারে জীবন করেনি তাকে ক্ষমা হায়
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেলগুলো সেই আজ আর নেই
সুজাতাই আজ শুধু সবচেয়ে সুখে আছে শুনেছি তো লাখপতি স্বামী তার
হীরে আর জহরতে আগা গোড়া মোড়া সে গাড়ি বাড়ি সব কিছু দামী তার
আর্ট কলেজের ছেলে নিখিলেশ স্যান্যাল বিজ্ঞাপনের ছবি আঁকতো
আর চোখ ভরা কথা নিয়ে নির্বাক স্রোতা হয়ে ডিসুজা টা বসে শুধু থাকতো
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেলগুলো সেই আজ আর নেই
কখনো বিষ্ণু দে কখনো যামিনী রায় এই নিয়ে তর্কটা চলতো
রোদ ঝড় বৃষ্টিতে যেখানেই যে থাকুক কাজ সেরে ঠিক এসে জুটতাম
চারটেতে শুরু করে জমিয়ে আড্ডা মেরে সাড়ে সাতটায় ঠিক উঠতাম
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেলগুলো সেই আজ আর নেই
কবি কবি চেহারা কাঁধেতে ঝোলানো ব্যাগ মুছে যাবে অমলের নামটা
একটা কবিতা তার হলোনা কোথাও ছাপা পেলনা সে প্রতিভার দামটা
অফিসের সোস্যালে ম্যামেচার নাটকে রমা রায় অভিনয় করতো
কাগজের রিপোর্টার মইদুল এসে রোজ কি লিখেছে তাই শুধু পড়তো
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেল গুলো সেই আজ আর নেই
সেই সাতজন নেই আজ, টেবিলটা তবু আছে সাতটা পেয়ালা আজো খালি নেই
একই সে বাগানে আজ এসেছে নতুন কুঁড়ি শুধু সেই সেদিনের মালি নেই
কত স্বপ্নের রোদ ওঠে এই কফি হাউজে কত স্বপ্ন মেঘে ঢেকে যায়
কতজন এলো গেল কতজনই আসবে কফি হাউজটা শুধু থেকে যায়
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেলগুলো সেই আজ আর নেই
No comments:
Post a Comment